টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
চাটমোহরে নীতিমালা লঙ্ঘন করে ফসলী জমিতে পুকুর খনন

চাটমোহরে নীতিমালা লঙ্ঘন করে ফসলী জমিতে পুকুর খনন

চাটমোহরে কৃষিজমিতে পুকুর খনন

পাবনার চাটমোহরে কৃষিজমির প্রকৃতি পরিবর্তন করে পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। এতে আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়ছে।

নিয়ম-নীতি অমান্য করে পুকুর খনন করা হচ্ছে ফসলি জমি কেটে। সাধারন জনসাধারনের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে কিভাবে এই বে-আইনি কর্মকাÐ চলছে। সরেজমিনে মঙ্গলবার উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের তেবাড়িয়া ও জোদ্দার ভিটায় গিয়ে দেখা যায় পৃথক দুটি স্থানে ফসলি জমিতে ভেকু(এক্সভেটর) দিয়ে প্রায় দশ বিঘা করে বিশ বিঘা ফসলী জমিতে পুকুর খননের কাজ চলছে। এছাড়া উপজেলার গুনাইগাছা, নিমাইচড়া, হান্ডিয়াল, পার্শ^ডাঙ্গাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বভিন্ন স্থানে ফসলী জমি কেটে চলছে পুকুর খননের মহাৎস । এ খনন করা পুকুরের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে আশপাশের বিভিন্ন এলাকাসহ ইটভাটায় ।

এলাকাবাসী জানায়, বিভিন্ন প্রলোভনে ফসলি জমি খনন করতে জমির মালিকদের উদ্বুদ্ধ করছেন মাটি ব্যবসায়ীরা। জমির মালিক রাজি হলে ভেকু মেশিন দিয়ে খনন কাজ শুরু করছেন তারা। অল্প দিনের ফসলী জমির রুপ পরিবর্তন হয়ে পরিণত হচ্ছে পুকুরে। আর ফসলী জমিতে খননকৃত পুকুর তৈরির ফলে আশপাশের ফসলী জমির চাষাবাদ ব্যহত হচ্ছে। পুকুর খননের মাটি পরিবহন করা হচ্ছে আশপাশের রাস্তায়। ফলে একদিকে মানুষের ব্যবহারের অনুপযোগী হচ্ছে রাস্তাগুলি,অন্যদিকে মাত্রারিক্ত ধুলা সৃষ্টি হওয়ায় বায়ু দূষণ ঘটছে। ফলে শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছেন স্থানীয়রা। সংশ্লিষ্ট জমির মালিকের সঙ্গে চুক্তি করে পুকুর খননের কাজটা সেড়ে দিচ্ছেন মাটির ব্যবসায়ীরা। ফসলি জমি খননে জড়িত মাটি ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনলে বন্ধ হবে এই বে-আইনি ভাবে পুকুর খননের কাজ।

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম জানান, ফসলি জমি কেটে পুকুর খননের অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোন ফষলী জমি কেটে পুকুর নির্মান করতে দেয়া হবে না। কৃষিজমি যতটুকু সম্ভব রক্ষা করতে হবে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া জমির প্রকৃতিগত কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।

 

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital