শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহতরা হলেন- লাখাই উপজেলার মনতৈল গ্রামের আছকির মিয়ার ছেলে জুবাইল মিয়া (১৮) ও বাহুবল উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের গেদু মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া (২৩)।
পুলিশ জানায়, বাহুবলের ফতেহপুর গ্রামে জামাল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের সজল মিয়াদের পূর্ব বিরোধ ছিল। দুপুরে জামাল জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য হাওরে যান। সেখানে সজল মিয়ার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। পরে বাড়ি ফেরার পথে সজলের লোকজন জামালের ওপর হামলা করলে তার শরীরে টেটাবিদ্ধ হয়। এরপর স্থানীয়রা জামালকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর পুলিশ হামলাকারী সজলের বোন শিল্পী আক্তার ও তার পক্ষের কাউছার মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান।
অপরদিকে, লাখাই উপজেলার মনতৈল গ্রামের জুবাইল মিয়া গত ২৯ জানুয়ারি রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। এক সপ্তাহ পর শুক্রবার গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আব্দুল কাইয়ুম নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, মরদেহের চোখ ও কানসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। এটি হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশ নিশ্চিত। হত্যায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।