শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামীকে খুন করার ১০ ঘণ্টার মধ্যে স্ত্রী রেনু বেগমকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও (আমিনপুর) গ্রামের দিনমজুর আলেক মিয়া তিন মাস আগে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাগময়না (টেকুয়া) গ্রামের মৃত আরমান মিয়ার স্বামী পরিত্যক্ত মেয়ে রেনু বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। আলেক মিয়ার প্রথম স্ত্রী ও তিন মেয়ে দুই ছেলের সংসারে আলাদা ঘরে নববিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বসবাস করতেন।
শুক্রবার রাতে নিজ শয়নকক্ষে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমাতে যান তিনি। শনিবার সকালে আলেক মিয়া মৃত অবস্থায় পড়ে ছিলেন, ঘরে ছিলেন না স্ত্রী। আলেক মিয়ার মাথায় আঘাত ও রক্তের দাগ রয়েছে। মাথার পাশে একটি রক্তাক্ত কাঠের টুকরো পড়ে ছিল। বিষয়টি তার সন্তানরা থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আরমান মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী রেনু বেগমের বাগময়না গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১০ বছর ধরে রেনু বেগমের সাথে তাদের যোগাযোগ নেই। সে মানসিকভাবে অসুস্থ। ইতোমধ্যে তার দুইবার বিয়ে হয়েছিল। প্রথম স্বামীর এক ছেলে শিশুকে গলাটিপে হত্যার কথাও জানা যায়।
খুন হওয়ার খবর পাওয়ার সাথে সাথে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করেন। পাশাপাশি ঘাতক স্ত্রীকে খোঁজে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান। শনিবার বিকালে একদল পুলিশ জগন্নাথপুর থানার শেষ সীমান্ত থেকে নিহতের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেন। জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) মুসলেহ উদ্দিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ চেষ্টা করছে ও নিহতের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।