সোমবার দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়াও সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুইজন। নিহত মো. নান্টু মিয়া উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে স্থানীয় ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে। দাড়িদহ বন্দরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।
জানা যায়, উপজেলার ময়দানহাট্টয় ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ময়দানহাট্টা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আলামিনকে (৩২) একটি কক্ষে আটকে মারপিট করছে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জাফর ও তার লোকজন- এমন সংবাদ জানাজানি হয়। ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রুপম গ্রুপের লোকজন জাফর গ্রুপের হাতে থেকে আলামিনকে ছাড়াতে গিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্য ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বেধে যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নান্টু মিয়া নামে রুপম গ্রুপের এক কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করা হয়। তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়ির সহকারী পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।