মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন। এ দিন রায় ঘোষণাকালে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজার পরোয়ানা দিয়ে আবারও তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এদিন ট্রাইব্যুনাল মামলার রায় প্রস্তুত করতে পারেননি। এজন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার রায় ঘোষণার জন্য নতুন করে ৯ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করে দেন।
এর আগে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে হয়। মামলায় ৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৮/৯ বছর আগে মেয়েটির বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়। এরপর মেয়েটি তার নানীর কাছে থাকতেন। আসামি বাবা কামাল হোসেন লিপি বেগম নামে আরেকজনকে বিয়ে করে। এরপর ২০১৯ সালে এপ্রিল মাসে বাবা কামাল হোসেন তার মেয়েকে রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকার বস্তিতে নিয়ে যায়। এ কারণে সৎ মায়ের সঙ্গে মেয়েটির বাবার ঝগড়া হয়। এরপর ওই বছরের ২ মে মেয়েটিকে নিয়ে তার বাবা বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগ এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়। পরে ৪ এবং ৫ মে কামাল হোসেন মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
ওই ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে বাবা কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আল-ইমরান আহম্মেদ আসামি কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ১২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।