খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, যা গত সপ্তাহে এক লাফে ৪০ টাকায় উঠেছিল। এছাড়া সবজির বাজারে ৫ থেকে ১৫ টাকায় মিলছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি ও মুলা। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে দেশের বাজারে রেকর্ড তেলের দাম ও চালের উর্ধ্বগতি ক্রেতাদের মধ্যে অন্তোষ সৃষ্টি করেছে। খুচরার পাশাপাশি পাইকারিতেও সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে। গত সপ্তাহে ১৭৫ টাকা পাল্লা বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসাবে পাইকারিতে এক কেজি পেঁয়াজের দাম পড়ছে ২৫ থেকে ২৭ টাকা।
এদিকে পেঁয়াজের পাশাপাশি আলু ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। খুচরা বাজারে এক কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকা, তা গত সপ্তাহে ২০ টাকায় উঠেছিল। আর গত সপ্তাহে ১০০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম কিছুটা কমে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় সবজির দামে খুব একটা হেরফের হয়নি। আগের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এছাড়া মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজরের কেজি ১৫ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজিগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউয়ের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১৫ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ডিম, ব্রয়লার মুরগী ও সোনালি মুরগির দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা। এছাড়া দাম বেড়ে সোনালি মুরগি (কক) বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে। কিছুদিন আগেও ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।
আদা প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, রসুনের কেজি ১২০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়। আগের অবস্থানেই মাছ ও মাংসের বাজার গরুর মাংস প্রতি কেজি আগের মতোই ৫৫০ টাকা ও মহিষের মাংস ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাসি ও বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। মাছের বাজারে রুই মাছ আকারভেদে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, মৃগেল ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ১৫০-২৮০ টাকা, ফোলি ৩০০-৪০০ টাকা, পাবদা ১৫০-২৫০ টাকা, টেংরা ১৬০-২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ টাকা, সিলভার কাপ ১০০-১৫০ টাকা, দেশি কৈ ১৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কাঁচকি ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় মাছ ৫০০, রিডা ২২০ টাকা ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে হাজার টাকায়।