এ সময় দুটি বাসে আগুন দেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সড়কটি দিয়ে চলাচল করা মানুষ।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর রূপাতলী এলাকায় বিআরটিসি বাস কাউন্টারের স্টাফ কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল দুপুর দেড়টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা সেখানকার বাস টার্মিনালে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রফিক নামে অভিযুক্ত স্টাফকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
সড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে নগরীর রূপাতলী এলাকায় মাহমুদুল হাসান তমালের মেসে হামলা করে কতিপয় পরিবহন শ্রমিক। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তমালকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন পার্শ্ববর্তী মেসের শিক্ষার্থীরা। তখন ধারাল অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে আগত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়।
পরে ওই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া এক শিক্ষার্থী জানান, দাবি না মানা হলে তারা সড়ক ছেড়ে চলে যাবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস জানান, রাতে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ। পরে আহত সব শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।