অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চেঁচরা গ্রামের বাসিন্দা। বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আশেকুর রহমান সুজন বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার মো. গাউসুল আজম ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বাসিন্দা সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী মোছা. তমানিয়া আফরিনকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন। বিবাহের কয়েক মাস পর মোছা. তমানিয়া আফরিন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে জানতে পারেন তার স্বামী আগের স্ত্রী সন্তানের কথা গোপন করে তাকে বিবাহ করেছেন।
এরপর পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার মো. গাউসুল আজম ২০২০ সালের ১৭ আগস্ট মোছা. তমানিয়া আফরিনের বাবার বাড়ি শেরপুর গিয়ে তার বাবার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় পুলিশ কর্মকর্তা তার স্ত্রীকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে তলপেটে লাথি মারলে তমানিয়া আফরিনের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। পরে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে গৃহবধূ তার স্বামীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ পিপি অ্যাড. আশেকুর রহমান সুজন বলেন, গর্ভের সন্তান হত্যা মামলা দায়ের পর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করলে, আসামি পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার মো. গাউসুল আজম উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নেয়। তবে জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বুধবার তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন।
বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ বিচারক নুর মোহাম্মাদ শাহরিয়ার কবীর শুনানি শেষে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।