টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
কেন বাড়ছে যানজট?

কেন বাড়ছে যানজট?

রাজধানীজুড়ে বেশ কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে তীব্র যানজট। একটা গাড়ির সঙ্গে আরেকটা গাড়ির ছুঁই ছুঁই অবস্থা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তীব্র যানজটের কবলে পরে ভোগান্তি বাড়ছে সড়কে চলাচলকারীদের। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন বাড়ছে এমন যানজট?

বুধবার সকাল থেকেই তীব্র যানজট লক্ষ করা গেছে রাজধানীর ধানমন্ডি, শাহবাগ, পল্টন, সায়েন্স ল্যাব, বাংলামোটর, কাকরাইল, কারওয়ান বাজার, মৌচাক, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়কগুলোতে। দুপুরে কিছুটা কম হলেও বিকাল হতে ফের শুরু হয় যানজটের তীব্রতা।

কাকরাইলের ট্রাফিক সার্জেন্ট মাহমুদুল হাসান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বুধবার সকাল থেকেই কাকরাইল ও আশেপাশের সড়কগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিলো। বেশ কিছুদিন ধরেই এমন যানজটের তীব্রতা লক্ষ করা যাচ্ছে। জনবল কম থাকায় পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সড়কে চলমান যাত্রীদের কণ্ঠেও বিরক্তি। তাদের ভাষ্য, ঢাকায় এখন ট্র্যাফিক জ্যামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিশ্চল অবস্থায় যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকাটাই যেনো স্বাভাবিক। এ শহরে কয়েকঘণ্টা ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে থাকা একটা সাধারণ নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যাত্রীদের পাশাপাশি তীব্র এ যানজটে ভোগান্তিতে পড়েছে বাসচালকেরাও। নীলাচল পরিবহনের এক বাসচালক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, চিটাগাং রোড থেকে আমাদের বাস নিয়ে পাটুরিয়া পর্যন্ত যেতে হয়। কিন্তু গুলিস্তান থেকে গাবতলী পার হতেই সময় লেগে যায় দুই ঘণ্টারও বেশি। সারাদিনে একবার যেয়ে আসতেই সময় শেষ হয়ে যায়। এমন হলে আমাদের পারিশ্রমিকও থাকে না।

কেন এমন যানজট? জানতে চাইলে রমনা জোন ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জয়দেব চৌধুরী বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, সপ্তাহের বুধবারেই যানজট বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে এবং সেটা অনেকদিন ধরেই। এদিন গাড়ি বেশি চলাচল করে। এছাড়াও মেট্রোরেল ও বিভিন্ন রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির কারণে রোড সংকীর্ণ হওয়ায় এমন যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

যানজট নিরসনে কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এডিসি, এসিসহ সবাই এ বিষয়ে কাজ করছে।

স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান বা এসটিপি-র হিসাব অনুযায়ী, ঢাকায় ১৫ ভাগ যাত্রী দখল করে আছেন মোট সড়কের ৭০ ভাগ। বর্তমানে ঢাকায় কমবেশি ১৫ ভাগ যাত্রী প্রাইভেট গাড়িতে যাতায়াত করেন। এই প্রাইভেট কারের দখলে থাকে ৭০ ভাগেরও বেশি রাস্তা। বাকি ৮৫ ভাগ যাত্রী অন্য কোনো ধরনের গণপরিবহন ব্যবহার করেন। অর্থাৎ তারা গণপরিবহন সড়কের মাত্র ৩০ ভাগ এলাকা ব্যবহারের সুযোগ পান। এছাড়াও অনেক ফুটপাত এখনো দখলমুক্ত না হওয়ায় এবং নগরীতে রিকশার সংখ্যা বেশি হবার কারণে এমন যানজট। মূল সড়কগুলোতে এসব ছোট যানবাহনের ধীর গতিতে চলা যানজট আরো বাড়িয়ে দেয়।

মতিঝিল জোন ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এস এম বজলুর রশিদ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এই এলাকায় (মতিঝিল) যানজট অনেকটাই কম। মেট্রোরেলের জন্যই যানজট বেশি হয় বলে তিনিও মনে করেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মতিঝিল অফিস ও বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় সকালে ও অফিস ছুটির পর থেকে যানজট শুরু হয়। শাপলাচত্বর থেকে জনতা ব্যাংক মোড় পর্যন্ত এই যানজট অনেক তীব্র হয়। মেট্রোরেলের কাজের কারণে রাস্তাগুলো অনেক সরু হয়ে যাওয়ায় এমন জ্যামের সৃষ্টি হয়। তবে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি যেন ভোগান্তি কম হয়।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজধানীতে গণপরিবহন ব্যবস্থা সত্যিকার অর্থে এখনো গড়ে ওঠেনি। বাস কোম্পানিগুলো যাত্রী পেতে প্রতিযোগিতা করে। তারা সড়ক আটকে যাত্রী পাওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে যান চলাচলই বন্ধ করে দেয়।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital