শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে সরকারের নানা উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে সারা দেশে লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে বিত্তশালীরাও এগিয়ে আসবেন। আমাদের শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডে সহায়তা করবেন বা নিজ নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহায়তা করবেন।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে এই ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ২০১২ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করি। এর মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান দেয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষায় ফেলোশিপ দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দারিদ্র্যক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই শিক্ষার প্রসারে খরচকে আমরা বিনিয়োগ মনে করি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি ধরে রাখতে শিক্ষার প্রসার প্রয়োজন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, আমরা ১৯৯৬ এ সরকার গঠন করে সারা দেশে শিক্ষা প্রসারে উদ্যোগ নিই। নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলন শুরু করি। সেটাতে সাফল্যও পেয়েছি। শিক্ষাকে বহুমুখী করার পদক্ষেপ নিই। প্রযুক্তির শিক্ষারও গুরুত্ব দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ও আওয়ামী লীগ সরকার করে।
এ সময় বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট চায়নি এ দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক। ৯৬-এ আমাদের নেওয়া উদ্যোগগুলো তারা বন্ধ করে দেয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৩০ মার্চের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর আগেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ারও ব্যবস্থা করছি। আমরা শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান প্রমুখ। গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।