ফেব্রুয়ারি সবে শেষ, চলছে বসন্ত। পাতাঝরা বাতাসে নগরের যখন মৃদু বাতাস বয়ে চলার কথা তখন সূর্যের তেজ যেনো বেড়েই চলেছে। সকালে সূর্য উঠার সঙ্গেই যেনো বেড়ে চলেছে দিনের তাপমাত্রা। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে চলতি মাসে তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। চলতি মাসেই বয়ে যাবে মৃদু থেকে মাঝারি একাধিক তাপপ্রবাহ। সেইসঙ্গে বজ্র-শিলাবৃষ্টিসহ এক থেকে দুইদিন মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ও হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দুই দিন ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকছে। আর আজ আগের কয়েক দিনের চেয়ে রাজধানীর সকালের তাপমাত্রা ছিল আরও বেশি। স্বাভাবিকের চেয়ে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি ছিল। সাধারণত এপ্রিলের শুরুতে গ্রীষ্মের আবহাওয়া শুরু হলে এ তাপমাত্রা থাকে।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, দিনের তাপমাত্রায় যারা কষ্টে ছিলেন, তাদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির সংবাদ আছে। তা হচ্ছে, আজ রাত থেকে বসন্তের হালকা ঠাণ্ডা বাতাস বৃদ্ধি পাবে। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে আবার আগের মতো তীব্র রোদ ও গরম থাকতে পারে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এ মাসে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলেই তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। ধীরে ধীরে গরম বৃদ্ধি পাবে।
রোববার দেশের কয়েকটি এলাকায় মৃদু দাবদাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা ছিল। কোনো একটি অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেখানে দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরে নেয়া হয়। আজও যশোরে তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রাজশাহীতেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার সকাল ছয়টায় রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ গত ৩০ বছরের গড় অনুযায়ী মার্চের এক তারিখে রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকার কথা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।