এ অভিযোগে বিন সালমান ছাড়াও সৌদি আরবের আরো চারজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নাম রয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, যুবরাজ ও অভিযুক্ত সৌদি কর্মকর্তাদের নির্দেশে দেশটির সাংবাদিকদের ওপর ব্যাপক ও পদ্ধতিগত নির্যাতন চালানো হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তুরস্কের মাটিতে ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ সালমানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উল্লেখ করেছে বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা এ সংস্থাটি।
জার্মানির দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় কার্লসুরের ফেডারেল কোর্ট অব জাস্টিসে দায়ের করা ৫০০ পাতার অভিযোগে বলা হয়, সৌদি আরবে অন্তত ৩৪ জন সাংবাদিককে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়েছে এবং হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে। এসব সাংবাদিক আইনবহির্ভূত নির্যাতন, যৌন সহিংসতা ও হত্যার শিকার হয়েছেন।
অনেকেই বাধ্যতামূলক দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। বিশেষত সরকার ও রাজপরিবারের বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে যেসব সাংবাদিক উচ্চকণ্ঠ ছিলেন, তারা যুবরাজের রোষানলে পড়েছেন।
যুবরাজ সালমান ও অভিযুক্ত সৌদি কর্মকর্তাদের নির্দেশে দেশটির সাংবাদিকদের ওপর বিস্তৃত ও পদ্ধতিগতভাবে এসব দমনমূলক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে জানান রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের সেক্রেটারি জেনারেল ক্রিস্টোফি দেলোইর।
তিনি বলেন, বেছে বেছে সাংবাদিকদের ওপর পদ্ধতিগত এসব নির্যাতন ও হত্যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল।