উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের সমাজ বলজপুর গামে ৬ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় এক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় একটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। ওই গ্রামের লবু প্রাং এর ছেলে চাঁদ আলীর বাড়িতে বিদ্যুতের সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে নিমিষেই ২টি ঘর, নগদ ৩ লাখ টাকা, ফসলাদিসহ সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতির পরিমাণ ১০ লক্ষাধিক টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান।
একইদিন ভোররাতে মশা তাড়াতে জ্বালানো কয়েলের আগুন থেকে সংঘটিত অগ্নিকান্ডে অঙ্গার হয়েছে ছয়টি ছাগল, আর চোখের সামনেই পুড়েছে খামারি শাহাদৎ শাহের স্বপ্ন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধানকুনিয়া গ্রামে। এই দুর্ঘটনায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, ছাগল রাখা ঘরে কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে যান শাহাদৎ শাহ। দুর্ঘটনার সময় লোকজনের চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙে তার, দেখেন- ছাগলগুলো একে একে পুড়ে যাচ্ছে। ছাগলগুলোর সঙ্গে ঘরটিও পুড়েছে।
গত ৩ মার্চ রাত দশটার দিকে চাটমোহর পৌর শহরের নতুন বাজার খেয়াঘাটে আগুনে দুটি দোকান পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় আনুমানিক লাখ দশেক টাকা ক্ষতি হয়েছে ভুক্তভোগীদের। আগুনের সুত্রপাত হয় বৈদ্যুতিক গোলযোগ (শটসার্কিট) থেকে। দোকান দুটির একটি কসমেটিকসের,অপরটি জুতা-স্যা-েলের। জনি সু স্টোর নামের জুতা-স্যা-েলের দোকানটি জনাব আলীর আর কসমেটিকসের দোকানটি রঞ্জু মিয়ার।
এদিকে গত ২৮ ফেব্রæয়ারি দিবাগত রাত ১টার দিকে পাশর্^ডাঙ্গা ইউনিয়নের মহেলা কৃষ্ণপুর গ্রামে কাবিল হোসেনের ছেলে জুলহাস হোসেনের বাড়ির বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন লাগার পর বাড়ির লোকজন ঘর থেকে বের হলেও বাড়ির ৫টি ঘর ভস্মিভূত হয়। এছাড়া আগুনে পুড়ে মারা যায় ২টি গাভী ও ৫টি ছাগল। পুড়ে গেছে নগদ টাকা,জমির কাগজপত্র,ফসলাদিসহ সবকিছু। ক্ষতির পরিমাণ ১০ লক্ষাধিক টাকা বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত জুলহাস হোসেন।
এছাড়া ১ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের পৈলানপুর গ্রামে অগ্নিকান্ডে এক বিধবার সব কিছু পুড়ে গেছে। জানা গেছে, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে ওই গ্রামে দরিদ্র বিধবা আনোয়ারা বেগমের একমাত্র ঘরটি পুড়ে গেছে। সাথে পুড়েছে ঘরের সবকিছু।