রোববার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার সব নির্দেশনা দিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে তিনটি স্তর পাওয়া যায়। এখানে একটি ঐতিহাসিক পটভূমি আছে। বাঙালির বঞ্চনার ইতিহাস। অত্যাচার-নির্যাতনের ইতিহাস। তখনকার বর্তমান অবস্থান, কীভাবে পাকিস্তান সামরিক জান্তা গুলি করে মানুষ হত্যা করছে।
তিনি বলেন, কীভাবে মানুষ যাদের ভোট দিয়েছে, তারা মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে, সেই বঞ্চনার ইতিহাস, নির্যাতনের ইতিহাস বঙ্গবন্ধু বর্ণনা করছেন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই ভাষণের মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু একটি যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার সব নির্দেশনা তিনি দিয়ে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, একটি গেরিলা যুদ্ধ হবে, সেই যুদ্ধ কীভাবে করতে হবে, সংগ্রাম প্রতিরোধ গড়ে তোলা থেকে শুরু করে, যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই শত্রুর মোকাবিলা করতে বলেছেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) জাতিকে একটি অসহযোগ আন্দোলনের পথ ধরে সশস্ত্র বিপ্লবের দিকে নিয়ে যান। তার সারাজীবনের সংগ্রামের অভিজ্ঞতা ও বাঙালি জাতিকে নিয়ে তার লক্ষ্য স্থির করেই ভাষণ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাষণ দিতে যাওয়ার আগে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন আমার মা। যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে আমার মা সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারতেন। আমার মা বলেছিলেন, তোমার মনে যে কথা আসবে তুমি সে কথাই বলবে। মায়ের পরামর্শেই বাবা সেদিন এ রকম ভাষণ দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যে ভাষণ সারাদেশের মানুষকে জাগ্রত করতে পেরেছিল, সেই ভাষণ এক সময় বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ছিল। আজ সেই ভাষণ জাতিসংঘের সেরা ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাষণ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হচ্ছে। এটি আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল। ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। সত্য আজ উদ্ভাসিত হয়েছে।