এ ঘটনায় চাষিসহ এর সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার বনখুর গ্রামের মৃত বিপুল চন্দ্র দাসের ছেলে রাজেন্দ্রনাথ দাস (৬০), মৃত রুপচান মণ্ডলের ছেলে নইমুদ্দিন মণ্ডল (৬০) বড় তাজপুরের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা (৬৫), পাঁচবিবি উপজেলার পূর্ব বালিঘাটা এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে রিপন সরদার (৩৭) ও বালিঘাটা বাজারের মৃত কুমুন্ড বিহারী দাসের ছেলে নেপাল চন্দ্র দাস (৫২)।
জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এমএম মোহাইমেনুর রশিদ জানান, কয়েক বছর আগে পুরানাপৈল বড় তাজপুর গ্রামের এক কৃষক ভারত থেকে বীজ এনে অন্যান্য ফসলের আড়ালে নিষিদ্ধ পপি চাষ শুরু করেছিলেন। প্রতি বিঘা জমিতে পাঁচ মণ ফলন হয়। আর প্রতি মণ ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ভারত থেকে লোক এসে এ ফল কিনে নিয়ে যান। পরে বেশি লাভের আশায় তার দেখাদেখি আরো ৪-৫ জন কৃষক ১১ বিঘা জমিতে এই চাষ করেন।
তিনি আরো জানান, তারা সবাই যোগসাজশ করে এসব নিষিদ্ধ পপির ফল বাজারজাত করে আসছিলো। খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযান চালিয়ে গাছ ও ফলগুলো কেটে জনসম্মুখে ধ্বংস করে এবং পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গাছ ও ফলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, হেরোইন, আফিমসহ বিভিন্ন মাদক তৈরিতে পপির বীজ প্রয়োজন হয়।
অভিযানে প্রশাসন, পুলিশ, কৃষি অফিস ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।