সোমবার বেলা ১১টা থেকে ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুরু হওয়া এ নিলামে দেশের চার মোবাইল অপারেটর অংশ নিয়েছে। নিলামে অংশগ্রহণকারী চারটি টেবিলের মধ্যে ১ নম্বর টেবিলে রয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ত অপারেটর টেলিটক, ২ নম্বর টেবিলে রয়েছে বাংলালিংক, ৩ নিম্বরে গ্রামীণফোন এবং ৪ নম্বর টেবিলে অপারেটর রবি।
নিলামের শুরুতে কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার এ কে এম শহীদুজ্জামান বলেন, ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ তরঙ্গ মোট পাঁচটি ব্লকে নিলাম প্রক্রিয়া প্রথমে শুরু করা হবে। এর মধ্যে দশমিক ৪৪ মেগাহার্টজ তরঙ্গে দুটি এবং ২ দশমিক ২ মেগাহার্টজ তরঙ্গে তিনটি – মোট পাঁচটি ব্লকে এ নিলাম হবে।
তবে দুটি ব্লকের বেশি কেউ নিতে পারবে না। ১৫ বছরের জন্য এ তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হবে। নিলামের ভিত্তিমূল্য ২০১৮ সালের ভিত্তিমূল্য অনুযায়ী ৩১ মিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। আর ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ২০ মেগাহার্টজ ব্যবহারযোগ্য তরঙ্গ ৫ মেগাহার্টজ করে মোট চারটি ব্লকে নিলাম করা হবে। এর ভিত্তিমূল্য হবে ২০১৮ সালের নিলামের ভিত্তিমূল্য অনুযায়ী ২৭ মিলিয়ন ডলার।
নিলামের শর্ত অনুযায়ী, কোনো অপারেটর যদি ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের নিলামে অংশ না নেয়, তাহলে তাকে ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের নিলামে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। কোনো ব্লকে গিয়ে টাই হয়ে গেলে একই পরিমাণ ব্লক থাকলে তা দুই কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়া হবে। না হলে তৃতীয় ধাপে আবার নিলামের ডাক উঠবে বলে জানান শহীদুজ্জামান।
২০১৮ সালে দেশে ফোর-জি চালু করার জন্য তরঙ্গ নিলাম করে বিটিআরসি। নিলামে মোট ১১টি ব্লকে ৪৬ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলামের জন্য ছিল।এর মধ্যে তিনটি ব্লকে ১৫ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ বিক্রি হয়। উচ্চমূল্যের কারণে বাকি ৬৭ শতাংশ তরঙ্গ অবিক্রিত থাকে বলে অপারেটরগুলোর ভাষ্য।
বিটিআরসির হিসেবে, টু জির ৯০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ৮ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ; ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ১২ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ এবং থ্রি জির ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ২০ মেগাহার্টজ ব্যবহারযোগ্য তরঙ্গ রয়েছে। এয়ারটেলের সাথে একীভূত হওয়ার পর রবির মোট তরঙ্গের পরিমাণ এখন ৩৬ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ, বাংলালিংকের হাতে ৩০ দশমিক ৬ মেগা হার্টজ এবং রাষ্ট্রায়াত্ত্ব টেলিটকের হাতে রয়েছে ২৫ দশমিক ২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ।