সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক এম এ হামিদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে বিচারক আসামি আব্দুর রহিমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামের মৃত এনায়েত আলী মোড়লের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী বিমল কুমার রায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পৈত্রিক জমি নিয়ে আব্দুর রহিমের সাথে তার বোন নূরজাহান বেগমের (৬২) দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ও মামলা-মোকাদ্দমা চলছিল। জমির বিষয়ে কথা বলতে ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে নূরজাহান বেগম তার স্বামীকে নিয়ে আব্দুর রহিমের বাড়িতে যান। কথাবার্তার একপর্যায়ে আব্দুর রহিম ধারালো অস্ত্র দিয়ে নূরজাহান বেগমের মাথায় কোপ দেয়। এতে তিনি গুরুতর জখম হন। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে আব্দুর রহিমকে রক্তমাখা ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে। তারা নূরজাহান বেগমকে উদ্ধার করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নূরজাহান মারা যান। এ ঘটনায় নূরজাহান বেগমের ছেলে জিল্ল¬ুর রহমান বাদী হয়ে আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
এপিপি বিমল কুমার রায় আরো জানান, এ মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক সোমবার আব্দুর রহিমকে ফাঁসি ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। এ রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্ট বলে তিনি জানিয়েছেন।