মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ভুক্তভোগী নারী বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ার তার চলাচলে ভাড়ার বিষয়টি পরিবহন কর্তৃপক্ষ শিথিল রেখেছিলো। কিন্তু বাসে ওঠার পর ভুক্তভোগীর কাছে ভাড়া না থাকায় বাকবিতণ্ডার মাধ্যমে নাজেহাল করে চলন্ত বাস থেকে তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়।
এসময় বাক-প্রতিবন্ধী হওয়ায় টাইলসের ওপর লিখে ওই নারী তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়ার কারণ সম্পর্কে উপস্থিত জনতাকে জানান।
ওই নারী লিখেন, ‘এন মল্লিক বাসে তিনি কোনাখোলা থেকে উঠেছিলেন, ভাড়া নেই। এন মল্লিক কোনোদিনও আমার থেকে ভাড়া নেয় না। এরা ভাড়া চায়। দিতে না পারায় এমন ব্যবহার। এন মল্লিকের সবাই আমাকে চেনে ও মনে হয় চিনে নাই।’
উল্লেখ্য, সোমবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে এন মল্লিক নামের একটি বাস কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর বাজার এলাকায় ওই নারীকে ছুঁড়ে ফেলে। ঘটনাটির একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো ব-১৩-১৫২১। বাস থেকে ফেলে দেয়া ওই নারী বাকপ্রতিবন্ধী। তিনি মাটিতে পড়ে প্রচণ্ড ব্যথায় কান্নাকাটি করছিলেন। পরে উপস্থিত স্থানীয়রা তাকে রাস্তা থেকে তোলেন।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর তার স্বজনরা কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সোমবার দিনগত রাতে কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বর সাকিন কুচিয়ামারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাসের চালক সবুজ (২৫) ও হেলপার নাহিদকে (১৯) কেরানীগঞ্জ কোনাপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এন মল্লিক পরিবহন বাসটিও জব্দ করে র্যাব-১০।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন, নগদ ৮০০ টাকা ও ১টি ড্রাইভিং লাইসেন্স জব্দ করা হয়।