রিপনের উপস্থিতির খবর পেয়ে এলাকাবাসী ভিড় করলে রিপন তাদের জানায়, আরজিনার সাথে তার কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে। আরজিনা তার বৈধ স্ত্রী। কিন্তু বড় ভাই দেলোয়ারের সাথে ভাবী আরজিনার তালাক না দিয়ে রিপন কিভাবে ভাবী আরজিনাকে বিয়ে করেছে জানতে চাইলে রিপন সুকৌশলে পরের দিন ৮ মার্চ ভোরে আরজিনাকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ইতিপূর্বেও রিপন তার আরেক সৌদি প্রবাসী ভাই লিটন হোসেন সিদ্দিকীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। এলাকাবাসীর চাপে ৩ মাস পরে রিপন ভাবীকে ডিভোর্স দেয়। একই রকমের ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটায় এলাকাবাসী চরম ক্ষুব্ধ।
প্রতিবেশী মো. সাইদ সিদ্দিকী, সালাম সিদ্দিকী, রোজিনা বেগম জানায়, মাদ্রাসায় পড়ালেখা করলেও রিপনের স্বভাব চরিত্র মোটেও ভাল নয়। পরিবারে আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রিপন বারবার একই ধরনের ঘটনা ঘটাতে সাহস পাচ্ছে।
এলাকার মাতাব্বরগণ ঘটনাটির সামাজিকভাবে মীমাংসা করতে চাইলে, রিপনের পরিবার ভাবী আরজিনাকেসহ তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। তারা এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।
ঘটনার বিষয়ে রিপনের বাবা মজিবর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। রিপন সিদ্দিকীকে তিনি বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। রিপনের জন্য তার বাড়ির দরজা সারা জীবনের জন্য বন্ধ। রিপনের কোন খোঁজখবর তিনি জানেন না বলেও জানান।
এ বিষয়ে পারখী ইউপি চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত হোসেন তালুকদার বলেন, ঘটনার বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে ঘটনার খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।