প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের নিরাপত্তা সংস্থাকে না জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের পর এই নির্দেশ জারি করেন বিন সালমান। তবে ঠিক কবে থেকে তিনি গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। মাশহুর বিন আব্দুল আজিজ হচ্ছেন যুবরাজের স্ত্রী সারার বাবা। একইসঙ্গে তিনি সৌতি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের সৎ ভাই।
সৌদি বাদশাহ সালমানের চার ছোট ভাই এখনও জীবিত রয়েছেন। তারা যেকোনো সময় বাদশাহ ও যুবরাজের বিন সালমানের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে।
সৌদি যুবরাজ বিন সালমান এ পর্যন্ত দুইশ’র বেশি যুবরাজ ও রাজনীতিবিদকে আটক করেছেন এবং এদের অনেকেই অর্থের মাধ্যমে মুক্তি পান। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক অভিযান পরিচালনায় সৌদি যুবরাজ বেশ কয়েক হাজার হাজার কোটি ডলার জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া সাংবাদিক নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে যুবরাজের বিরুদ্ধে। সৌদি সিনিয়র সাংবাদিক জামাল খাসোগজিকে হত্যার জন্যে ঘাতক দলকে তুরস্কে পাঠানোর অভিযোগ ওঠে মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে।
জার্মানির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় কার্লসুরের ফেডারেল কোর্ট অব জাস্টিসে সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিন সালমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস। আদালতে দায়ের করা ৫০০ পাতার অভিযোগে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে অন্তত ৩৪ জন সাংবাদিককে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়েছে। এসব সাংবাদিক আইনবহির্ভূত নির্যাতন, যৌন সহিংসতা ও হত্যার শিকার হয়েছেন।