আলবেনীয় এক তরুণী ২০১৭ সালে ২৩ বছরের জন্মদিন পালন করছিলেন এক নাইটক্লাবে। রবিনহোর সঙ্গেই তার বন্ধু রিচার্ড ফ্যালকোর বিরুদ্ধে সেই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ২০১৭ সালে ৩৭ বছরের তারকা এই ফুটবলার দোষী সাব্যস্ত হন।
গ্লোবোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্ত চলাকালীন রবিনহো এবং তার প্রতিনিধি তদন্তকারী আধিকারিকদের বারবার বিপথে চালনা করেছেন। এমনটাই নাকি জানানো হয়েছে মিলানের কোর্ট অফ আপিলে। রবিনহোর সঙ্গেই তার বন্ধু রিচার্ড ফালকোর শাস্তি বহাল থাকছে।
তদন্ত চলাকালীন জানা যায়, রবিনহো এবং ধর্ষণে জড়িত অন্যান্যরা মেসেজ আদানপ্রদান করেন। সেখানেই রবিনহো বলেছিলেন, তরুণী পুরোপুরি মদ্যপ।
এই ঘটনায় ২০১৭ সালে ইতালির এক আদালত রবিনহোকে ৮ বছরের জেল হাজতের শাস্তি ঘোষণা করে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার পরে মিলানের আদালত গত বছর ডিসেম্বর সেই শাস্তিই ধরে রাখে। ইতালির সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করার জন্য এখনও ৪৫ দিন সময় পাবেন রবিনহো। শীর্ষ আদালতের রায়ের ওপরেই তারপর নির্ভর করবে রবিনহোর হাজতবাসের মেয়াদ।
ঘটনা হল, ঘটনার সময় রবিনহো এসি মিলানে খেললেও বর্তমানে তিনি নিজের দেশ ব্রাজিলে থাকেন। ইতালি এবং ব্রাজিলের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় স্থানীয় পুলিশের কাছে ইন্টারন্যাশনাল এরেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করে রবিনহোকে পাওয়ার আর্জি জানাতে পারে ইতালি সরকার। ব্রাজিল সরকার রাজি না হলে রবিনহোর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করতে পারে ইতালি। সেক্ষেত্রে ইউরোপের কোনো দেশে এলেই গ্রেফতার করা হবে রবিনহোকে।
রবিনহো অবশ্য বরাবর বলে এসেছেন সম্মতির ভিত্তিতেই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন তিনি। তিনি চলে যাওয়ার পরে নাকি তার বন্ধু যৌনতায় লিপ্ত হন। রবিনহো আপাতত বলছেন, তার একমাত্র অনুশোচনা স্ত্রী ভিভিয়ানের সঙ্গে প্রতারণা করায়।