নিজস্ব সংলাপ এবং নির্মাণে ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে মেহজাবীন চৌধুরীকে। যেখানে তিনি স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন যে, নারীরাও কোনো না কোনো দিন থেকে আলাদা কিংবা সেরা। আর তাই অন্যের কাছে সেরা হবার চেষ্টা না করে নারীদের উচিত নিজেদের স্বতন্ত্র সত্তা আবিষ্কার করা যেন এই সত্তাই তাদেরকে জীবন দৌড়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
নারী দিবসকে ঘিরে অনেক অনলাইন প্লাটফর্মে অনেক বিজ্ঞাপন কিংবা সচেতনতার ভিডিও নির্মিত হলেও মেহজাবীনের এই ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। বিশেষ করে নারীদের কাছে এটা একটা অনুপ্রেরণামূলক বার্তা। মেহজাবীনের ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত হওয়া ভিডিওটি মাত্র দুদিনেই দেখেছেন প্রায় ২১ লাখ দর্শক। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেড় হাজারেরও বেশি প্রশংসাসুলভ মন্তব্যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন ৩৫ হাজার দর্শক।
জানা যায়, ঘরে বসে মাত্র ২ ঘণ্টায় ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী ও তার ছোট বোন কায়নাত করিম চৌধুরী। পুরো ভিডিওটির পরিকল্পনা ও সংলাপ মেহজাবীনের। মাত্র ৪ ঘণ্টায় ভিডিওটির আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন আভরাল সাহির।
এই বিষয়ে মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘ভিডিওটি একদমই নিজের দায়িত্ববোধ থেকে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বানানো। কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে মাথায় এই আইডিয়াটা আসে। তখন ডায়লগগুলো সাথে সাথে মোবাইলে নোট করে ফেলি। এরপর বাসায় এসে আমার ছোট বোন কায়নাতের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করি। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, নারী দিবস নিয়ে অনেক কথা বলার আছে, আর সেট যদি একটি ভিডিওর মাধ্যমে প্রকাশ করি তাহলে ভালো হবে। যেই ভাবা, সেই কাজ। আমার এই ভিডিও দেখে যদি একজন মানুষও নিজেকে শোধরাতে পারে তাহলে আমি নিজেকে সফল মনে করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভিডিওটি এতো বেশি মানুষ দেখবে কল্পনাও করিনি। কারণ নারী দিবস ঘিরে অনলাইনে অনেক অনেক ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে, সেখানে আমার এই ছোট্ট ভিডিওটি মানুষ এতো বড় করে ফেলবে ভাবিনি। তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সেইসাথে অনেক ধন্যবাদ আমার ছোট বোন কায়নাতকে এবং আভরাল সাহিরকে।’