শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের লেঙ্গুর গ্রামের রহিছ মিয়ার বসতঘরের আঁড়ের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলান্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।
নিহত সুমি আক্তার ওই গ্রামের রহিছ মিয়ার মেয়ে। সে বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক রোগে ভূগছিল।
জানা গেছে গত প্রায় ৫ মাস আগে উপজেলার মধ্যনগর থানা সদর ইউনিয়নের কামউরা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রুবেল (২৫) মিয়ার সাথে একই উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের লেঙ্গুর গ্রামের রহিছ মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তারের বিয়ে হয়।
বিয়ের প্রায় মাস দেড়েক পর থেকেই গৃহবধূ সুমি আক্তার মানসিক রোগে ভোগছিলেন। এ অবস্থায় গত প্রায় ১৫ দিন আগে গৃহবধূ সুমি আক্তার তার বাবার বাড়ি লেঙ্গুর গ্রামে বেড়াতে আসেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সুমি আক্তার বাড়ির লোকজনের অগোচরে তিনি বসতঘরের একটি কক্ষের আঁড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। পরে বাড়ির লোকজন তার ঝুলান্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনারস্থলে থেকে নিহত সুমির লাশ উদ্ধার করে।
ধর্মপাশা থানার এস আই মো. সোহেল মাহমুদ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যপারে কোন অভিযোগ না থাকায় এবং উভয়পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ব্যপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।