টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
পাবনা সুজানগরে পায়ে হেঁটে পদ্মা নদী পার

পাবনা সুজানগরে পায়ে হেঁটে পদ্মা নদী পার

পাবনার সুজানগরের পদ্মা নদী শুকিয়ে ধুধু বালু চরে পরিণত হয়েছে। ফলে অনেকটা পায়ে হেঁটেই বিশাল পদ্মা নদী পার দেওয়া যাচ্ছে।

উপজেলার পদ্মা পাড়ের সিংহনগর গ্রামের ডাঃ লিয়াকত আলী বলেন, এক সময় প্রমত্ত পদ্মার গর্জনে মাঝি মাল্লারা সাহস পায়নি তার বুকে খেয়া নৌকা চালাতে। এমনকি জেলেরা সাহস পায়নি মাছ ধরা নৌকা চালাতে। শুধু তাইনা অনেক সময় পদ্মার বিশাল ঢেউ আর ভয়ঙ্কার গর্জনের মুখে ফেরি এবং স্টিমারের মত ভারি নৌযানও চলতে সাহস পায়নি। কিন্তু কালের আবর্তনে সেই প্রমত্ত পদ্মা এখন শুকিয়ে শীর্ণ একটি খালে পরিণত হয়েছে। পদ্মার বুক জুরে জেগে উঠেছে ধুধু বালু চর।
পদ্মা পাড়ের নারুহাটি গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, উপজেলার সাতবাড়ীয়া পদ্মা নদীর খেয়াঘাট হতে রাজবাড়ীর পাংসা উপজেলার হাবাসপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত পদ্মা নদীর দূরত্ব প্রায় ৬কি.মি। ৪/৫ মাস আগেও পাবনার সুজানগর এবং রাজবাড়ীর পাংসা উপজেলার হাজার হাজার মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ঐ খেয়া ঘাট থেকে নৌকাযোগে পদ্মা নদী পার দিয়ে দুই জেলার অভ্যন্তরে যাতায়াত করতেন। কিন্তু মাত্র ৪/৫ মাসের ব্যবধানে দীর্ঘ ৬কি.মি পদ্মার সাড়ে ৫কি.মি শুকিয়ে ধুধু বালু চরে পরিণত হয়েছে। ফলে এলাকাবাসীকে সাড়ে ৫কি.মি পদ্মার চর পায়ে হেঁটে পার দেওয়ার পর মাত্র আধা কি.মি পদ্মা নৌকাযোগে পার দিতে হয়। এতে খেয়া যাত্রীরা সীমাহান দুর্ভোগের শিকার হন।
স্থানীয় এমপি আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন, খেয়া যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব তথা পদ্মা নদীর অস্তিত্ব রক্ষায় ড্রেজিং করে নাব্যতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital