মুমূর্ষু অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে শুক্রবার ভোররাতের দিকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, তিনি জীবিকার তাগিদে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তার কিশোরী মেয়ে বাড়িতে দাদির সঙ্গে বসবাস করতো। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় সুবাদে একই এলাকার জিলু মিয়ার ছেলে শাহ আলম এবং লিলু মিয়ার ছেলে ছোট্ট মিয়া তার মেয়েকে ঘর থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে পরিত্যক্ত একটি ঘরে নিয়ে তার হাত-পা বেঁধে। এর পরদিন গণধর্ষণ করে।
কিশোরীর মা আরও জানান, অনেক খুঁজাখুঁজির পর তিনিসহ স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে খবর পেয়ে রাতেই ওই কিশোরীকে দেখতে হাসপাতালে যান অতিরিক্ত সিনিয়র এএসপি শেখ মো. সেলিম। এ সময় তিনি ভিকটিম ও তার মায়ের কাছ থেকে ঘটনার সম্পূর্ণ বর্ণনা শোনেন।
এএসপি শেখ মো. সেলিম জানান, বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তবে গণধর্ষণের ব্যাপারে ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়া সঠিকভাবে বলা যাবে না।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো অভিযোগপত্র পাননি বলে জানান বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) প্রজাতিৎ কুমার।