এমন শত কবিতা, গল্প, নাটক আর গানের মাধ্যমে গ্রাম-বাংলার মানুষের সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরেছেন যে কবি, সেই পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দিনটি উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
একুশে পদকপ্রাপ্ত পল্লীকবি জসীম উদ্দীন ১৯৭৬ সালের এই দিনে ৭৩ বছর বয়সে রাজধানী ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ী ফরিদপুরে প্রিয় ‘দাদীর’ কবরের পাশে তাকে কবর দেওয়া হয়। ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামের মাতুলালয়ে জসীমউদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে লেখা তার কবর কবিতাটি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হলে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান।
বাংলা সাহিত্যে যেন ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে পল্লীকবির নাম। কবর ও আসমানী তাঁর বিখ্যাত দুটি কবিতা। এ ছাড়া ‘মধুমালা’, ‘বেদের মেয়ে’, ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’, ‘নকশি কাঁথার মাঠ’সহ নানা সাহিত্য রচনা করে তিনি বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে আছেন।
পল্লীকবি ১৯৭৬ সালে ইউনেস্কো পুরস্কার, ১৯৬৮ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি, ১৯৭৬ সালে ২১শে পদকে ভূষিত হন।