প্রথমবারের মতো বই লিখেছেন এই গায়ক। বইটির নাম ‘অনুভূতির অভিধান’। ১৯ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া এবার বইমেলায় এটি অধ্যায়ন প্রকাশনী থেকে বের হবে বলে জানান তাহসান। প্রথমবার বই লেখা নিয়ে তাহসান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এটি আমার প্রথম লেখা কোনো বই। নিজের জীবনের উপলব্দি নিয়েই এই লেখা। সত্যি বলতে আমার যখন যেটা ভালো লাগে সেটাই করি। এই বই লেখার ক্ষেত্রেও তাই। এই বইটি লিখেছি আমার জীবনের ২০-২৫টি গল্প নিয়ে।
বইটি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, মানুষের জীবনে বেড়ে উঠার সময়ে অনেক কিছুই শেখা হয়। আমার মনে হয় আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে একটা জিনিসই কম শিখছি, সেটা হচ্ছে অনুভূতি কিভাবে ধারণ করতে হয়; সেটাকে কীভাবে প্রক্ষেপণ করতে হয়, অনুভূতির চরাই উৎরাই কীভাবে পার করতে হয় সেটা।
এটা আমরা শিখি না কারণ, স্কুল-কলেজে এটা শেখানো হয়না, পরিবারেও খুব একটা হয় না। যার কারণে টিনেজ বয়সে কিংবা তার পরবর্তী বয়সে বিভিন্ন সময়ে ফ্রাস্ট্রেশন বা ডিপ্রেশন চলে আসে। আমার এই বইটা হচ্ছে একটা ‘কনভার্সেশন স্টার্টার’; যেন কথার শুরু হয়। আমি বলবো না যে এভাবেই শুরু করতে হবে! তবে আমি আমার গল্পের মাধ্যমে বলতে চাই যে, এভাবে শুরুটা হতে পারে। মানুষ এটা পড়ে যেন বুঝে যে অনুভূতি নিয়ে আমাদের আরও অনেক বেশি কথা বলা উচিত। আমাদের জীবনে আমরা অনেক কিছু নিয়ে কথা বলি কিন্তু অনুভূতি নিয়ে কথা বলি না। এই অনুভূতিটার চর্চা হলে আমাদের পৃথিবীটা আরও সুন্দর হয়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এরপর কী নিয়মিত বই লিখবেন? এমন প্রশ্নে তাহসানের উত্তর, একজন শিল্পী হিসেবে আমার যখন যেটা ভালো লাগে সেটাই করি। শ্রোতা বা দর্শকরা আমার কাছে যেটা চায়, আমি সেটা করি। এখন এটা পড়ার পর যদি রেসপন্স ভালো পাই বা আমার অডিয়েন্স যদি চায় তবে সামনে আরও লিখবো। এই সময়টাতে আমার লেখার ছিলো, লিখেছি। বাকিটা আসলে ভবিষ্যতের ব্যাপার।