মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হরিশপুর রহিমের পেট্রোল পাম্প এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত কামরুল হাসান ওরফে মিন্টুকে বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মিন্টু শহরের হরিশপুর কামারপাড়া এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শীরা বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, আহত মিন্টু মোটারসাইকেলযোগে শহরতলীর দত্তপাড়া এলাকা থেকে হরিশপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় নাটোর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত মেহেদি সেতুর নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছিলেন।
তাদের ভাষ্য, এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে থাকা পুলিশ সদস্য অনিক হাসান মোটরসাইকেল চালক মিন্টুকে সিগন্যাল দেন। কিন্তু মিন্টু মোটরসাইকেল না থামিয়ে দ্রুত পালাতে গিয়ে বন্ধ রাস্তায় ঢুকে পড়েন। এ ঘটনায় দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরই একপর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্য মিন্টুর মুখে আঘাত করেন।
রাত সাড়ে ৮টায় আল সান হাসপাতালে পরিচালক শফিউল আলম বলেন, আধা ঘন্টা আগে মিন্টুকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। তার নাকের নীচে ফেটে গেছে। সোখানে পাঁচটি সেলাই দেয়া হয়েছে। উপরের তিনটি দাঁত ভেঙ্গে গেছে।
নাটোর জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সময় মাটি ব্যবসায়ীকে পুলিশ সদস্য সিগনাল দিলে, সে অমান্য করে চলে যায়। যেহেতু মোটরসাইকেলটি স্পিডে চলানোর সময় পড়ে গিয়ে মাটি ব্যবসায়ীর ঠোঁট কেটে গেছে এবং দাঁতে আঘাত পেয়েছে। তারপরও আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। পুলিশ সদস্য দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।