শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে হতবাক ও বাকরুদ্ধ পরিবারের সদস্যসহ এলাকার সকলেই। পারিবারিক সূত্র জানায়, লোহাগড়া পৌরসভার রামপুর গ্রামের মৃত ফকির নায়েব আলীর ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে প্রতিবন্ধী বাবর আলী সবার বড়। তার ডান পা ও ডান হাত ছিলো অচল। কোনোরকমে কথা বলতে পারতেন। পিতার মৃত্যুর পর ভাইয়েরাই সংসার দেখভাল করেন। একা টিনসেড ঘরে বসবাস করতেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন বাবর আলী। সে ঘুমই ছিলো তার শেষ ঘুম।
শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ঘরে মশা তাড়াতে জ্বালানো মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খুব দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো ঘরে। পরিবারের সদস্যরাসহ গ্রামের লোকজন আগুনের বিষয়টি টের পাবার সাথে সাথে নেভানোর চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে লোহাগড়া উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে গেছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী বাবর আলীর বাঁচার আকুতি থাকলেও চলাচলে অক্ষম হওয়ায় ঘর থেকে বের হতে পারেননি। শরীরের ৯০ ভাগই আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
মা- দোলেনা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন। নিহতের ভাই মো. বাদলসহ অন্যরা জানান অগ্নিকাণ্ডে ভাইয়ের জীবন গেছে। ঘরসহ আসবাবপত্র পুড়ে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪/৫ লাখ টাকার।
লোহাগড়া উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. মাসুদ রানা বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। কিন্তু ততক্ষণে বাবর আলীর মৃত্য হয়েছে। মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানান তিনি।