পৃথিবীর সব বাবার কাছেই তার মেয়ে ‘রাজকন্যা’। বাবার হাত ধরেই একটু একটু করে হাঁটতে শিখে সন্তান। তার কাছেই শিখে প্রথম কোনো বর্ণ। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বাবা কেবল সংসারের কর্তা বনে যান। দূরত্ব বনে যায় সন্তানদের সঙ্গে। বাবা আর সন্তানের মাঝে কেমন যেন একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। যার জন্য মনের ভেতরে রাজ্যের সব ভালোবাসা জমা হয়ে আছে সেই বাবাকেই বলা হয় না যে, বাবা তোমাকে প্রচন্ড ভালোবাসি।
ছোট পর্দার বড় তারকা মেহজাবীন চৌধুরী বৃহস্পতিবার সকালে তার বাবাকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেন, ‘যেই মানুষ আমার সব চেয়ে আপন তার সাথেই এক অদ্ভুত দূরত্ব। তার জন্যেই আমার সময় নেই। তার সাথেই আমার জীবনে কি চলছে তা নিয়ে আলাপ হয় না।’
তিনি আরও লিখেন, ‘ঘুম থেকে উঠে গান শুনতে শুনতে প্রায় ১ ঘণ্টা পার হয়ে গেলো। হঠাৎ দরজায় বাবা নক করে। ঘুম এর ভান ধরলাম। যখন ৩/৪ বার ডাক দেন আমার নাম ধরে তখন বুঝি জরুরি কিছু হবে। দরজা খুলতেই দেখি বাবা দাড়িয়ে আছে মুখে হাসি নিয়ে, হাতে নাস্তার প্লেট, বললেন, এটা খেয়ে ফেলো, ঠান্ডা হলে ভালো লাগবেনা।
চরম লজ্জা পেলাম। লজ্জা লুকাতে বললাম, পাপা ভোর ৫ টায় ঘুমাইসি আমি। বাবা বললেন, মিউজিক বাজছিলো তোমার রুমে। তাই আমি ভাবছি তুমি উঠে গেসো। বাবা চলে গেলে আমি প্লেট নিয়ে দরজা বন্ধ করে ফেলি। ভিতরে ঢুকে ভাবলাম, হাসি মুখে ‘থ্যাংক ইউ পাপা’ বললে কি ক্ষতি হতো?
মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, সকাল থেকেই এই ঘটনাটা আমাকে ভীষণ ভাবাচ্ছে। আমরা যত বড়ই হই না কেন বাবাদের কাছে আমরা যেন সেই ছোট্টটি-ই থেকে যাই সারাজীবন। কত মমতায় আমাদের আগলে রাখেন। কিন্তু সেই বাবাকেই কেন জানি বলা হয় না ‘ভালোবাসি’।
সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবসের নতুন একটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন মেহজাবীন। তুহিন হোসেন পরিচালিত ‘অসমাপ্ত’ শিরোনামের নাটকে তার সঙ্গে এখানে রয়েছেন আফরান নিশো। শিগগিরই ঈদের নাটকের শুটিংয়ে অংশ নেবেন তিনি।