বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত উজ্জল মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার আঠালিয়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে। মামলার সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে ২০১৩ সালের শেষে দিকে একই উপজেলার আঠালিয়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে উজ্জল মিয়ার সঙ্গে রোকেয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের চার মাস পর রোকেয়া আক্তার অন্তঃসত্ত্বা হন। বিয়ের পরে এবং অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন স্বামীসহ তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় ২০১৪ সালের ২৫ আগস্ট মধ্যরাতে রোকেয়ার বাবার বাড়িতে খবর দেওয়া হয় রোকেয়া মারা গেছেন। এ ঘটনায় ২৬ আগস্ট তার ভাই মো. শুকুর আলী বাদী হয়ে স্বামী উজ্জল মিয়া, শ্বশুর জালাল উদ্দিন, শাশুড়ি হাজেরা ও সেরজন গোয়ালকে আসামি করে সিংগাইর থানায় মামলা দায়ে করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন সিংগাইর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোক্তার হোসেন তালুকদার মামলার তদন্ত করে ২০১৫ সালে ২৮ মে উজ্জলকে আসামি করে মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাজর্শিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি গৃহীত হয়। মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্য শেষে আসামির উপস্থিতে বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
মামলায় রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুস সালাম সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামি পক্ষের আইজীবী মোহাম্মদ শামীম খানের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।