শুক্রবার উলউইচ ক্রাউন কোর্ট তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দেয় আদালত। পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ যোগাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামজার পোস্ট নিয়ে এক নাগরিক পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর কাউন্টার টেররিজম কর্মকর্তারা তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে ৫টি উদ্বেগজনক পোস্ট খুঁজে পায়। সেসব পোস্টে হামজা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে ‘মারাত্মক সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনে’র অন্যদের প্রতি আহ্বান জানান। এরপর ২০১৮ সালের ৪ জুলাই দক্ষিণ লন্ডনের কর্মস্থল থেকে হামজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য তার কম্পিউটার, ফোন ও মেমোরি কার্ড জব্দ করে। তিনি ওই সব পোস্ট প্রকাশের দায় স্বীকার করেন এবং পরে জামিন পান।
তার ওইসব পোস্ট পর্যালোচনা করে যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক আইনের লঙ্ঘন খুঁজে পেলে পরের বছর ২৮ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ‘টেররিজম অ্যাক্ট’ এর ১(২) ধারায় সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ যোগানোর ৪ ধরনের ঘটনায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এবছর ১৩ জানুয়ারি ৩টি ঘটনায় হামজার বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়। আরেকটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হননি।