এর মধ্যে ভয়াবহ অবস্থা হলো দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্যে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ। করোনা মহামারির প্রথম পর্বেও একদিনে কোনো রাজ্যে এত সংখ্যক মানুষ এর আগে আক্রান্ত হননি। মহারাষ্ট্রে নতুন করে ৩১ হাজার ৮৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল মুম্বাইয়ে আক্রান্ত ৫ হাজারের বেশি। এছাড়া রাজ্যের পুনে, নাগপুর, থানে, আওরঙ্গাবাদের মতো জেলাগুলোতেও লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৪৭৬ জন। এ নিয়ে ভারতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৫১ জনের। এ নিয়ে ভারতে করোনা প্রাণ কেড়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৬৯২ জনের।
শুধু মাত্র মহারাষ্ট্র নয়, ভারতের আরও কয়েকটি রাজ্যের পরিস্থিতি ক্রমে খুব খারাপের দিকেই যাচ্ছে। সে তালিকায় শুরুতেই রয়েছে পঞ্জাব, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু। এছাড়া ছত্তিশগড়ের অবস্থাও খারাপ হয়েছে। সেখানে দৈনিক সংক্রমণ ফের দুই হাজার ছাড়াচ্ছে। গুজরাট, মধ্যপ্রদেশেও দেড় হাজার ছাড়াচ্ছে। দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ আবার এক হাজার ছাড়িয়েছে।
সংক্রমণ রুখতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসন। কেন্দ্র ইতোমধ্যেই রাজ্যগুলোকে জানিয়েছে, প্রয়োজনে স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন জারি করতে পারবে তারা। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে আংশিক লকডাউন বা বিভিন্ন বিধি-নিষেধ নতুন করে জারি করা হয়েছে।
দিল্লি, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলোতে ইতোমধ্যেই প্রকাশ্যে হোলি উৎসব পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বেঙ্গালুরু পৌর এলাকায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মাস্ক না পরলে ২৫০ রুপি জরিমানা করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া লকডাউনের পথেও হাঁটতে শুরু করেছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। মহারাষ্ট্রের নাসিকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন জারি হয়েছে। আওরঙ্গাবাদেও ১১ এপ্রিল অবধি লকডাউন জারি রয়েছে।