আহত ব্যক্তিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্ত্রী পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, শিবপাশা গ্রামের উতু মিয়ার ছেলে জাবেল মিয়া ১২ বছর আগে একই উপজেলার উত্তর সাঙ্গর গ্রামের লিচু মিয়ার মেয়ে শাপলা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। কিছুদিন আগে শাপলা বেগম অভিযোগ করেন তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
বুধবার (২৪ মার্চ) রাতে খাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী শাপলা বেগম বঁটি দিয়ে স্বামী জাবেল মিয়ার বিশেষ অঙ্গ কেটে দেন।
খবর পেয়ে শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোরশেদ আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে জাবেল মিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ঘটনার পর থেকে স্ত্রী শাপলা বেগম পলাতক রয়েছেন।
শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোরশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোরে ঘুমের মধ্যে স্ত্রী বঁটি দিয়ে স্বামীর বিশেষ অঙ্গ কর্তন করে পালিয়ে গেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।
আহত জাবেল মিয়া পিকআপ চালক বলে জানান তিনি।