হঠাৎ করে বাংলাদেশে ফেসবুক এবং বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ মেসেঞ্জারের সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় বিবৃতি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফেসবুকের বক্তব্য নিয়ে শনিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

বিবৃতিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের মন্তব্য, ‘করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় কার্যকর যোগাযোগের জন্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রয়োজন। এমন সময়ে বাংলাদেশে এটি সীমিত রাখার ঘটনা উদ্বেগজনক। ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ডাউন রাখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কেউ কোনো মন্তব্য করেননি। তবে এর আগেও বিক্ষোভের বিস্তার রোধের অংশ হিসেবে ইন্টারনেট শাটডাউন রেখেছিল সরকার।’

বিবৃতিতে ফেসবুক আরো বলেছে, ‘বাংলাদেশে আমাদের সেবা সীমিত করার ব্যাপারে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা ঘটনাটি আরও বুঝতে কাজ করছি এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবকিছু পুনরুদ্ধারের আশা করছি।’

তবে ফেসবুক এবং মেসেঞ্জার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কি না সে বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, মোদির সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় শুক্রবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় আন্দোলনকারীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সময় পুলিশ গুলি চালালে চারজন নিহত হয়। হেফাজতে ইসলাম চট্টগ্রামে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে রোববার সারা দেশে হরতাল ডেকেছে। হেফাজত ও দলটির সমর্থকরা মোদির বিরুদ্ধে ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন।

এর আগে, শুক্রবার সকালের দিকে দু’দিনের সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফর করছেন তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর জোড়া উৎসবে অংশ নিতে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।