রক্ষণভাগের দুর্বলতায় শুরুর ছন্দ ধরে রাখতে পারলো না বাংলাদেশ। প্রথমার্ধেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেপাল এগিয়ে গেলো দুই গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে এক গোল শোধ করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও শেষরক্ষা হলো না জেমি ডের শিষ্যদের। ত্রিদেশীয় কাপের ফাইনালে হেরে ভেঙে গেল তাদের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি নিজেদের কাছেই রেখে দিলো হিমালয়ের দেশটি।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখল এবং আক্রমণে এগিয়ে থাকে নেপাল। একের পর এক অতর্কিত আক্রমণের ফল হিসেবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ম্যাচের ১৮তম মিনিটেই। বাংলাদেশি গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো দারুণ এক সেভ করেছিলেন কর্নারের বিনিমিয়ে। ওই কর্নার থেকেই গোল আদায় করে নেয় স্বাগতিকরা। ডিফেন্ডারের ফিরিয়ে দেয়া বল বাংলাদেশের একাধিক খেলোয়াড়ের পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে পাঠান সানজগ রাই।
৪১তম মিনিটে গোছালো আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেপাল। রনজিত ধিমালের পাস পেয়ে সংযোগ নিখুঁত টোকায় বল বাড়ান বিশাল রায়ের উদ্দেশে। ডান পায়ের নিখুঁত শটে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন এই মিডফিল্ডার। ফলে ২-০ গোল ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। আর সফলতাও পায়। কিন্তু জেমি ডের শিষ্যদের পক্ষে ড্র কিংবা জয়ের কোনোটিই সম্ভব হয়নি। ৮৩ মিনিটে জামাল ভূঁইয়ার কর্নার থেকে সুফিল হেডে গোল করে ব্যবধান ১-২ করেন। শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলের হারেই ২২ বছর পর নেপালের কাঠমান্ডুতে শিরোপা জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। ১৯৯৯ সালে এই স্টেডিয়ামেই নেপালকে ফাইনালে হারিয়ে বাংলাদেশ এসএ গেমসে প্রথম স্বর্ণ জিতেছিলো।