টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
হারলেও প্রাপ্তি সোম্যর রানে ফেরা

হারলেও প্রাপ্তি সোম্যর রানে ফেরা

যেকোনো ফরম্যাট মিলিয়েই সৌম্যর ব্যাট থেকে ৩৮৬ দিন পর এলো কোনো পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। নেপিয়ার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দীর্ঘ এক বছর ফিফটির দেখা পেয়েছেন তিনি। তবে এ ম্যাচটাও হেরেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে খোয়ালো সিরিজটাও। তারপরও প্রাপ্তি আছে বলা যায়। আজ নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দেখা গেল সেই পুরনো মেজাজের ভয়ডরহীন সৌম্যকে। নান্দনিক স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি ছড়িয়েছিলেন তিনি।

তবে মঙ্গলবারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা দায়িত্বশীল হতে না পারায় আবারও ব্যর্থ টাইগাররা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ডি/এল মেথডে ২৮ রানে হেরে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সিরিজটি হাতছাড়া করেছে মাহমুদউল্লাহর দল।

অথচ ১৭০ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের শুরুটাও ছিল সম্ভাবনায় উজ্জ্বল। ওপেনার নাইম বরাবরের মতো মেরে খেলার চেষ্টা করেছেন। অপরপ্রান্তে থাকা লিটন দাস ব্যর্থ হয়েছেন যদিও। বেনেটের বলে পুল করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ফিলিপসের হাতে মাত্র ৬ রানে।

দ্বিতীয় ওভারে লিটন ফেরার পর অবশ্য ঝড়ো ভঙ্গিতেই খেলতে থাকেন সৌম্য সরকার। তাতে পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে আসে ৫৬ রানে। এর পর তো তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে বাংলাদেশ। কারণ ৫টি চার ৩ ছক্কায় ২৭ বলে তুলে ফেলেছিলেন ৫১ রান। ১০.১ ওভারে তাকে অসাধারণ ক্যাচে মিলনের তালুবন্দি করান টিম সাউদি।

সৌম্যর বিদায়ের পরই আসলে বাংলাদেশের জয়ের আশা মিলিয়ে যেতে থাকে ধীরে ধীরে। যাও কিছুটা সম্ভাবনা টিকে ছিল, সেটিও শেষ হয় রান রেটের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পারায়। এর ওপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারায় মাহমুদউল্লাহরা।

শুরুতে আক্রমণাত্মক নাঈম পরে হয়ে পড়েন বাক্সবন্দী। তিনি ৩৫ বলে ৩৮ রান করে ফিরলে বাকিরাও ফিরতে থাকেন একের পর এক। মাহমুদউল্লাহ ১২ বলে বোল্ড ২১ রানে, আফিফও বোল্ড হয়েছেন মাত্র ২ রানে। এর পর ফিরেছেন মিঠুন (১)। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ১৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করেছে ১৪২ রান।

ব্যাট হাতে ঝড়ের পর বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা গ্লেন ফিলিপস। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন টিম সাউদি, হামিশ বেনেট ও অ্যাডাম মিলনে।

এর আগে অবশ্য নেপিয়ারে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ডি/এল মেথডে নির্ধারিত হয় বাংলাদেশের লক্ষ্য। ১৬ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭০ রান।

যদিও শুরুতে এই লক্ষ্য নির্ধারণ নিয়েই নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে একটু। প্রথমে জানা গিয়েছিল ১৬ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৪৮ রান। কিন্তু পরে ম্যাচ রেফারির নির্দেশে নতুন করে জানানো হয় লক্ষ্য। ততক্ষণে অবশ্য ১.৩ ওভার বল মাঠে গড়িয়েছিল। এর পরেই নির্ধারিত হয় চূড়ান্ত লক্ষ্য।

এর আগে টস জিতে ভালো বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু গ্লেন ফিলিপসের ঝড়ো ব্যাটে বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। বৃষ্টি হানার আগে ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড করে ১৭৩ রান।

৩১ বলে ৫৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন ফিলিপস। ২৭ বলে পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। ১৬ বলে ৩৪ রানের মিনি ঝড় তুলেন মিচেল। ফিলিপসের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও দুটি ছয়। মিচেলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার।

বাংলাদেশের হয়ে ৪৫ রানে দুটি উইকেট মেহেদী হাসানের। একটি করে নিয়েছেন সাউফউদ্দিন, তাসকিন ও শরিফুল।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital