সোমবার তিনি জানান, পাঞ্জাবের যেসব জেলা ও শহরে করোনা শনাক্তের হার ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে, সেখানে ১ এপ্রিল থেকে লকডাউন কার্যকর হবে। চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। পাঞ্জাবের জনবহুল শহর লাহোর, ফয়সালাবাদ, রাওয়ালপিন্ডিতে এরই মধ্যে শনাক্তের হার ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, শিল্প ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করবে না রাজ্য সরকার। লকডাউনে পরিবহন, নির্মাণ, পণ্য এবং শিল্প খাত আগের মতোই চলবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, লকডাউনের সময় রাজ্যজুড়ে বিয়ের আয়োজনসহ সব ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানে জনসমাগম বন্ধ থাকবে। অরেঞ্জ লাইন মেট্রোসহ বিশেষ বাস সার্ভিস বন্ধ রাখা হবে। লকডাউনে হোটেল, রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকছে। তবে হোটেল, রেস্টুরেন্টগুলো ক্রেতাদের বাসায় খাবার সরবরাহ করতে পারবে। বন্ধ থাকবে পার্ক। সপ্তাহে দুই দিন দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে। সন্ধ্যা ছয়টায় মধ্যে জনসাধারণকে বাজার করতে হবে।
সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক পরার ওপর জোর দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মাস্ক পরে আপনি নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেন।’
পাকিস্তানে চলতি মাসে করোনা সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ শুরুর আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষকেরা। দেশটির সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গতকাল রোববার পাঞ্জাবের লাহোরে শনাক্তের হার ছিল ১৭ শতাংশ। রাজ্যের অপর দুই জনবহুল শহর ফয়সালাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে এই হার ১৫ শতাংশ করে। সংক্রমণে লাগাম টানা না গেলে রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ১ এপ্রিল থেকে তিনটি শহরই লকডাউনের আওতায় আসবে।
পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের বরাতে ‘ডন’ জানিয়েছে, রোববার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৪ হাজার ৫২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৪১ জন। টানা চার দিন ধরে দেশটিতে চার হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু পাঞ্জাবেই ২ হাজার ৩০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১৭ জন।