স্পেশাল জজ সামছুল হক তাকে এ সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিএনপি নেতা খলিলুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা পৌর এলাকার কেদার মন্ডলের ছেলে। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম। মামলা সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার ৫১ নং শৈলকুপা মৌজার ৫৫৪৫ দাগে ৫ শতক ও ৫৫৪৬ দাগে আরও তিন শতক মোট আট শতক এস এ রেকর্ড অনুযায়ী খাস জমি। কিন্তু খলিলুর ওই জমি সুষমা বালা নামের এক মহিলাকে দাতা ও নিজেকে গ্রহীতা সাজিয়ে জাল দলিল করে ১৯৭৩ সাল থেকে দখলে রাখেন। পরে মেয়র থাকা অবস্থায় ওই জমিতে তিনি রাহুল মার্কেট তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেন। তাছাড়াও ওই জমিতে পুরাতন দালান ছিল যার মূল্য ২০ লাখ টাকা। খলিল ওই দালান ভেঙে টাকা আত্মসাত করেন। ২০০৫ সালে বিষয়টি সরকারের নজরে আসে। জেলা রেজিস্ট্রারের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সরকার নিশ্চিত হয় দলিলটি জাল। এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ১৫ আগষ্ট শৈলকুপা পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় ৪০৯/৪২০/৪২৭/৪৬৮/ ও ৪৭১ ধারায় মামলা করেন। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী মামলাটি তদন্ত করে ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে খলিলুরকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন।
এরপর ২০১৮ সালে মামলাটি সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত ঝিনাইদহ থেকে যশোর স্পেশাল জজ আদালতে বদলি করা হয়। যশোরের তৎকালীন বিচারক ফারুক হোসেন মামলার বিচার কাজ শুরু করেন। মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। সোমবার মামলার রায় ঘোষণার দিনে আদালতে ৪৬৮ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়ে খলিলুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।