এর আগে গত সোমবার করোনা সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান শিল্প কারখানা ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী, অসুস্থ, বয়স ৫৫ ঊর্ধ্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
নির্দেশনাটির বাস্তবায়ন কতদূর- জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত পরশু যে প্রজ্ঞাপনটি আমরা দিয়েছি, সে অনুযায়ী সরকারি আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত যেসব প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে ৫০ শতাংশ জনবল নিয়ে যাতে অফিস পরিচালনা করা হয় সেই নির্দেশনা দেয়া আছে। সে অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে বার্তা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। যেহেতু হঠাৎ করে এটি, তাই কেউ কেউ হয়তো ৭০ শতাংশ করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করি দু-একদিনের মধ্যে যারা অত্যন্ত জরুরি কাজে সম্পৃক্ত নন সেখানে জনবলের অর্ধেক থাকবেন।’
‘অধিকাংশ মন্ত্রণালয় সেটা (নির্দেশনা) বাস্তবায়ন করেছে, আমি মনে করি যদি কেউ বিভিন্ন কারণে করতে পারেনি, আমাদের তো কমিটমেন্ট আছে এ দিনের মধ্যে সার্ভিসটি দিতে হবে, সেখানে হয়তো ৭০-৮০ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। ডিউটি রোস্টার ভাগ করে দেয়ার একটি বিষয় রয়েছে, আমার মনে হয় দ্রুত সেটা করতে যাচ্ছি।’
অর্ধেক জনবল দিয়ে অফিস করার ক্ষেত্রে কাজে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনেক অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। আমরা এখন ওয়েল ইকুইপড, ডিভাইসগুলো কীভাবে ব্যবহার করতে হয় আমরা জানি। আমরা একটি বছর কীভাবে বাসা থেকে অফিস করতে হয় সেটা সফলভাবে পরিচালনা করেছি।’
‘আমরা যে ডিউটি রোস্টার করব সে অনুযায়ী হয়তো কাউকে কাউকে তিনদিন অফিসে থাকতে হবে, দুদিন বাসায় থেকে কাজ করবে। পরের সপ্তাহে আবার যারা বাসায় ছিলেন তারা অফিস করবেন।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৫৫ বছরের বেশি বয়সের কর্মকর্তা, অসুস্থ কর্মকর্তা, গর্ভবতী নারী কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন তারা বাসায় থেকে কাজ করছেন আমরা সেই নির্দেশনা দিয়েছি।’