টিভি ব্রেকিংঃ
ঝিনুক টিভির পক্ষথেকে সকল দর্শকদের জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঝিনুক টিভি আসছে নতুন নতুন সব আয়োজন নিয়ে। পাশেই থাকুন
পদ্মায় চলছে নীরব চাঁদাবাজি

পদ্মায় চলছে নীরব চাঁদাবাজি

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীতে জাহাজ ও বলগেট থেকে অবাধে চলছে চাঁদাবাজি। দীর্ঘদিনের এই চাঁদাবাজি দেখেও যেন না দেখার তালবাহানায় স্থানীয় প্রশাসন।

জানা গেছে, পাটুরিয়া ও বাঘাবাড়ি নৌ-রুটে পণ্যবাহী জাহাজ ও বালুুবাহী বলগেট থেকে দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ অবৈধভাবে চাঁদাবাজি করছে উজ্জল, লালমিয়া ও দুলাল সুত্রধরসহ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। সংঘবদ্ধ এ চক্রটি জাহাজ ফেডারেশনের নাম ভাঙিয়ে মাঝ নদীতে ট্রলারযোগে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পণ্যবাহী জাহাজ ও বলগেট থেকে চাঁদা তোলে।

শুধু তাই নয়, নিয়মিত এসব চাঁদা তোলার জন্য রয়েছে নির্ধারিত ট্রলার, মাঝি ও ম্যানেজার। চাঁদা আদায়ের জন্য প্রতিদিন ট্রলারের ভাড়া ১ হাজার, মাঝির মজুরি ৪ থেকে ৫শ’ টাকা। এসব লোক চাঁদা আদায়ের জন্য সকাল-সন্ধ্যা পদ্মা নদীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

উজ্জল এবং লাল মিয়া নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে পাটুরিয়া থেকে বাঘাবাড়ি নৌ-রুটে জাহাজ থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করছে। উজ্জল নদী থেকে চাঁদা তোলে মাসে ১৩ দিন। বাকী ১৭ দিন চাঁদা তোলে লাল মিয়া। আর বলগেট থেকে সারা বছর চাঁদা তোলে দুলাল সুত্রধর। তাদের প্রত্যেক জনের রয়েছে চাঁদা তোলার নির্ধারিত ট্রলার ও মাঝি-মাল্লা।

সূত্র জানায়, প্রতিদিন পাটুরিয়া-বাঘাবাড়ী নৌ-রুটে শত শত পণ্যবাহী জাহাজ ও বালুবাহী বলগেট থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। ই চাঁদাবাজির টাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং প্রশাসনের এক শ্রেণীর কর্মকর্তার মধ্যে ভাগ-বণ্টন হয়। অবৈধ চাঁদা আদায়ের দায়ে উজ্জলকে পুলিশ একাধিকবার গ্রেপ্তার করলেও বন্ধ হয়নি তার চাঁদাবাজি।

পদ্মা নদীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর খেয়াঘাট এলাকায় রয়েছে চাঁদাবাজ চক্রের লোকজন। ওই খেয়াঘাট থেকে ট্রলারযোগে মাঝ নদীতে পণ্যবাহী জাহাজ-বলগেট থেকে চাঁদা তুলছে উজ্জল ও দুলাল সুত্রধরের লোকজন। উজ্জলের লোক বড় ট্রলার ব্যবহার করে পণ্যবাহী জাহাজ থেকে চাঁদা তোলে। দুলাল সুত্রধরের লোকজন ছোট ট্রলার দিয়ে বালুবাহী বলগেট থেকে চাঁদা তোলে।

চাঁদা আদায়ে ব্যবহৃত ট্রলারের মাঝি কামাল হোসেন বলেন, বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর থেকে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী জাহাজের সারেংদের নৌ-পথ শনাক্ত করার জন্য উজ্জল এবং লাল মিয়া সদরঘাট থেকে অনুমতি এনে আমাদের দিয়ে ট্রলারযোগে নির্ধারিত হারে টাকা আদায় করাচ্ছে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে উজ্জল বলেন, আমি ১৮ বছর যাবৎ এই কাজ করছি। ১৪ বছর যাবৎ ঢাকার সদরঘাট জাহাজ ফেডারেশনের নেতা শাহ্ আলমের নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে টাকা আদায় করছি। আরিচার বিআইডব্লিউটিএ’র অফিসারদের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

হরিরামপুরের ঝিটকা বাজারে দুলাল সুত্রধরের দোকানে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি এই প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করেনি।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ আরিচা নদী বন্দরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজের মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুঈদ চৌধুরী বলেন, পদ্মা নদীতে নৌ-রুট মার্কিং এর নামে টাকা আদায়ের কথা শুনেছি। কেউ অভিযোগ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুনঃ

Comments are closed.

© All rights reserved © 2020 | jhenuktv.com
Developed BY POS Digital