ইরাকের শীর্ষ বিচারিক সংস্থার পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিক করা হয়েছে। ইরাকের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওরেবী আল খলিফা করোনা আক্রান্ত হয়ে, শারিরীক নানা জটিলতা নিয়ে বাগদাদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
প্রসঙ্গত, ওরেবী আল খলিফা ১৯৯২ সালে বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রী অর্জনের পর ২০০০ সালে সাদ্দাম সরকারই তাকে বিচারক হিসেবে নিয়োগ দান করে। কিন্তু তিনি পাদপ্রদীপের তলায় আসেন যখন ২০০৪ সালে তাকে সাদ্দাম সরকারের বিরুদ্ধে গঠিত ট্রাইব্রুনালের একজন তদন্তকারী বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে অবশ্য তিনি সাদ্দাম সরকার কর্তৃক সংগঠিত গণহত্যার প্রধান বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। যেখানে সাদ্দামের খালাতো ভাই হাসান আল মাজিদ ওরফে ক্যামিকেল আলীও অভিযুক্ত ছিলেন।
তৎকালীন সময়ে ওরেবী বিচার কার্য চলার সময়ে সাদ্দামের উগ্র আচরণ ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের কারনে তাকে বেশ কয়েকবার কোর্ট রুম থেকে বের করে দিয়ে আলোচিত হন। এছাড়া তিনি সাদ্দামকে একই কারনে বেশ কয়েক দফায় নির্জন কারাবাসের আদেশও শুনিয়েছিলেন ওই সময়।