শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত সেলিনা বেগম উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের জামুন্না সানাপাড়ার মৃত মজিবর রহমানের মেয়ে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিহত সেলিনা বেগমের আট বছর পূর্বে উপজেলার নয়মাইল জামালপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে অটোরাইচ মিলের শ্রমিক মো. সোহেল রানার সাথে সেলিনা বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সাত বছর বয়সী ফুটফুটে একটি সন্তানও রয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সেলিনার স্বামী সোহেল ফোন করে সেলিনার পরিবারকে বলেন, সেলিনার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে এবং হাতেনাতে ধরাও পড়েছে। আপনারা এসে আপনাদের মেয়েকে নিয়ে যান। ওই দিন রাতেই সেলিনার পরিবারের লোকজন তার শ্বশুর বাড়িতে গেলে তারা মেয়েকে তাদের হাতে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। শনিবার দুপুরে সেলিনা তার শয়ন ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিলো না।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, দুই সপ্তাহ পূর্বে স্বামীর বাড়িতে সেলিনা বেগমকে প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিনের ছেলে সুমনের সঙ্গে অনৈতিক কাজে হাতেনাতে ধরে ফেলেন দেবর নাসিম। এ সময় তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। পরে স্থানীয়রা সমঝোতা করে সুমনকে ছেড়ে দেয়। পর দিন সেলিনা বেগমের পরিবারের লোকজনকে ডেকে স্থানীয়রা সালিস বসে তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।