শনিবার দুপুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুটির ছবি দেখে বেনাপোল পোর্ট থানায় যোগাযোগ করেন পিতা কালু মিয়া। বেলা ১২টার দিকে তার কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করে পুলিশ। পিতার কোলে উঠে আনন্দে মেতে ওঠে শিশু আলিফ হাসান (এক বছর ছয় মাস)।
শিশু আলিফ হাসান নড়াইলের কালিয়া উপজেলার খড়লিয়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেনাপোলের আল আরাফাহ্ ব্যাংকের নীচে তোফাজ্জেলের চায়ের দোকানে আলিফকে ফেলে পালিয়ে যান মা মুন্নি বেগম। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও মুন্নি বেগম না আসায় দোকানি তোফাজ্জেল শিশুটিকে নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেন। পুলিশ শিশুটিকে হেফাজতে রাখার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবি দিয়ে পরিচয় খোঁজার চেষ্টা করে। এরই সূত্র ধরে পিতা কালু মিয়া পোর্ট থানা ওসির সাথে যোগাযোগ করেন। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পোর্ট থানা থেকে তার কাছে আলিফকে তুলে দেয়া হয়। পিতার কোলে উঠেই হাসি-খেলায় মেতে ওঠে আলিফ।
পিতা কালু মিয়া জানান, ‘আমার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত। সে আমার সংসার করবে না বলে পূর্বে কয়েকবার জানিয়েছে। বিষয়টি ঠিক হয়ে যাবে মনে করে আমি কোনো কিছু বলিনি। বরং তাকে বুঝিয়েছি। শুক্রবার আমার অজান্তে আমার আট বছরের মেয়েকে বাড়িতে রেখে, দেড় বছরের শিশুকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। পরবর্তীতে সে আমাকে ফোনে জানায় আমার বাচ্চাকে সে বেনাপোল বাজারে এক চায়ের দোকানে রেখে চলে গেছে। একথা শুনে আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আমার ছেলের কোনো খবর পাইনি। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি আমার ছেলে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের হেফাজতে আছে।
শনিবার সকালে বেনাপোল পোর্ট থানায় গেলে শিশু সন্তানকে আমার কোলে তুলে দেয় পুলিশ’।
পোর্ট থানার ওসি মামুন খান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৯টার দিকে মুন্নি বেগম নামে এক নারী তার দেড় বছরের শিশু সন্তানকে বেনাপোল বাজারের একটি চায়ের দোকানে ফেলে চলে যান। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও শিশুটির মা ফিরে না আসায় দোকানদার ও স্থানীয়দের মাধ্যমে থানায় খবর দেন। দোকান থেকে শিশুটিকে থানায় এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবি দিয়ে প্রচার করা হয়। পরে শিশুটিকে তার বাবা কালু মিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।