অন্যদিকে গণপরিবহন না পেয়ে চট্টগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন অফিস ও কর্মস্থলগামী মানুষ। এতে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে অবরোধ চলছিলো তবে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন উপস্থিতিও দেখা যায়নি।
সড়কে অবস্থান নেয়ারা বলছিলেন, সড়কে প্রায় সব ধরনের যানবাহনই চলাচল করছে। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বাহন, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ট্রাক চলছে স্বাভাবিকভাবেই। সরকারের নির্দেশনার কারণে প্রায় সকল কারখানা খোলা রয়েছে। কিন্তু শ্রমিক-কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য গাড়ির তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ কর্মস্থল খোলা থাকলেও তারা পরিবহন সংকটে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না।
একজন অবরোধকারী বলেন, কারখানা খোলা রয়েছে। আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পৌঁছাতে বলা হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় এসে দেখি যাওয়ার জন্য বাস নেই। যাদের নিজস্ব গাড়ি আছে তারা ঠিকই অফিসে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা যেতে পারছি না। এক জায়গায় দুই অবস্থা, এটা হতে পারে না। হয় সবার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে না হয় সব কিছু বন্ধ করতে হবে।
আরেকজন অবস্থানকারী বলেন, দোকান-মার্কেট খোলা আছে। কিন্তু গাড়ি নেই। কাজে না গেলে চাকরি থাকবে না। হয় আমাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে। না হয় আমরা কোনো কিছুই চলতে দেব না।
এদিকে সোমবার সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, কমলাপুর, বাসাবো, মালিবাগ, বাড্ডা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কর্মস্থলগামী মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলেও গণপরিবহন নেই। কিছু প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কর্মীদের নেয়ার ব্যবস্থা করলেও অধিকাংশ মানুষকেই রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এ সময় অনেককে রিকশা, সিএনজি, ছোট পিকাপে করেও গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
রাজধানীর বেশ কিছু জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, আগের তুলনায় রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। গণপরিবহন বেশি একটা দেখা না গেলেও রাস্তায় অসংখ্য ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি ও রিক্সা চলতে দেখা গেছে। এছাড়া ছিল পণ্য পরিবহনের কিছু ট্রাক ও কাভারভ্যান। জায়গায় জায়গায় চলছে পুলিশি তল্লাশি।