সোমবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত রাতে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে মোট ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো।
বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ সমাপ্ত হয়েছে। ভেতর থেকে আরও ২১ জনের নিউজ উদ্ধার করা হয়। স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করছেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক জানিয়েছেন, পাঁচজনের লাশ উদ্ধারের পর আরও ২৮ জন নিখোঁজ ছিলেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। এরপর ২১ জনের মরদেহ পাওয়া যায়।
এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) মো. রফিকুল ইসলামকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে ৭ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।
এর আগে রোববার সন্ধ্যায় ‘সাবিত আল হাসান’ নামক লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জের দিকে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। এরপর কয়েক দফা চেষ্টা চালিয়েও রবিবার লঞ্চটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়।