এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৩৭ হাজার ৩৬৪ জনে পৌঁছেছে।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আরো ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ২৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৬৮৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত এবং ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭টি পরীক্ষাগারে ৩১ হাজার ৪৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় ৩০ হাজার ৭২৪টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩.০৭ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এর আগে শনিবার অধিদপ্তর জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ২৩.১৫ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরো ২ হাজার ৭০৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৪৮২ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমকি ৬৮ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্ব পরিস্থিতি
কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১৩ কোটি ৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টার দিকে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ৬২৫ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৪০৯ জনে।
চীনের উহানে ২০0৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৬ লাখ ৭১ হাজার ৮৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৭৭৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ২৯ লাখ ৫৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ১৯৩ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ২৩ লাখ ৯২ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ১১০ জন।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সোমবার ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের গণপরিবহন (সড়ক, রেল, নৌ, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট) বন্ধ থাকবে। তবে উৎপাদন ও সেবায় নিয়োজিত গণপরিবহনের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া বিদেশি ও বিদেশ ফেরত যাত্রীদের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য হবে না।
আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা কাজে (গ্যাস, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট) নিয়োজিতরা নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবেন।
সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস, আদালত, বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবলকে এদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা নেয়া করতে পারবে। শিল্প কারখানা, নির্মাণকাজ চলবে। শিল্প কারখানা শ্রমিকদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আনা নেয়া করতে হবে। বিজিএমইএ, বিকেএমইকের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি (ওষুধ কেনা, দাফন, সৎকার, নিত্যপণ্য কেনা) প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।