আর এখন হয়েছে ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা। তবে শুটিং করাকে অনুপ্রাণিত করছে না সংগঠনগুলো। বলা হয়েছে, একান্ত প্রয়োজনে কেউ চাইলে আজ থেকে সকাল ৬টায় শুরু করে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শুটিং করতে পারেন। এ সময় অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে ছোট পর্দার চারটি সংগঠনের বেঁধে দেওয়া কঠোর নীতিমালা অবশ্যই মানতে হবে। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় শিগগিরই আসতে পারে শুটিং বন্ধের ঘোষণা।
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম জানান, সরকারি প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকারখানা, ব্যাংক, বিমা ও জরুরি কিছু সেবা চালু থাকবে। এই সময়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় শুটিং করতে কোনো বাধা নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো শিল্পীকে শুটিং করতে উৎসাহিত করছি না। জীবনের প্রয়োজনে আমাদের ঘরে থাকা উচিত। তবে কেউ চাইলে শুটিং চালিয়ে যেতে পারেন।
গতবার লকডাউন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে শুটিং বন্ধ হয়েছিল। সেটা এবার সরাসরি ‘বন্ধ’ বলতে পারছে না ছোট পর্দার সংগঠনগুলো। এই নিয়ে তাদের ভেতর দোটানা তৈরি হয়েছে। ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাউদ্দীন লাভলু জানান, প্রজ্ঞাপনে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও অফিস সীমিত আকারে চালু রাখার কথা বলা হয়েছে। জরুরি কাজ ছাড়া বের হওয়া যাবে না। এসব বিষয় তাঁরা এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না। তিনি মনে করেন, কাজই তাঁদের রুটি–রুজির জায়গা। সেই জায়গা থেকেই তাঁরা সতর্কতার সঙ্গে শুটিং করতে বলছেন। তবে শিগগিরই শুটিং নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। এমনও হতে পারে, শুটিং বন্ধ। সালাউদ্দীন লাভলু বলেন, ‘সরাসরি শুটিং বন্ধ, এবার আমরা এটা বলতে পারব না। বন্ধ বললে সহকর্মীদের দায়দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। এটা আমাদের দ্বারা সম্ভব নয়। আবার ‘‘শুটিং করো’’—এটাও বলতে পারছি না। তখন সরকার আমাদের ধরবে। আমরা শুটিংয়ের পক্ষেও নই, বিপক্ষেও নই।’
গাজীপুরের পুবাইলে শুটিং করছেন নির্মাতা আল হাজেন। তাঁর পরিচালনায় ‘মেহমান’ নাটকে অভিনয় করছেন ফারুক আহমেদ, সাজু খাদেম, মৌ, তানজিকা আমিনসহ অনেকে। শুটিং কতটা নিয়ম মেনে হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সর্ব্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিংয়ের চেষ্টা করছি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক সবই আছে। নিয়ম কেউ মানতে চায়, কেউ চায় না। তবে আমার পক্ষ থেকে নিয়ম মানার কড়া নির্দেশ আছে।’ আগামীকাল লকডাউনে শুটিং রয়েছে এই নির্মাতার। তবে শুটিং করবেন কি না, এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। সংগঠন যে সিদ্ধান্তই দিক, সেটা মেনে কাজ করবেন।