এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষই পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২১ জনকে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের কোমরভোগ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইউপি সদস্য জাবেদ আলী এবং আওয়ামী লীগ নেতা লিটন মাস্টারের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে জাবেদ আলী ও লিটন মাস্টারের লোকদের মধ্যে বাকবিতাণ্ডা হয়। এ সময় লিটন মাস্টার রাতে হামলা চালানোর হুমকি দেন। পরে বুধবার দিবাগত রাতে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ইউপি সদস্য জাবেদ আলীর লোকজনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে জাবেদ আলীর লোকজন লিটন মাস্টারের লোকজনের ওপরে হামলা চালায়।
এ সময় শাজাহান আলী (৪৫) ও আমিরুল ইসলাম (৪০) রাশিদুলসহ দুই পক্ষের শিশুসহ ১০ নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে শাজাহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্র্তি করা হয়েছে।
ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিচুর রহমান জানান, জাবেদ আলী ও লিটন মাস্টার দুজনেই আওয়ামী লীগ নেতা। পুরো গ্রামে আওয়ামী লীগের দুটো দল সৃষ্টি করেছে। প্রায়ই এদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা হয়।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিএনপি এবং জামায়াতের নেতারা এসে ওই গ্রামে এ ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
খোকসা থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।