এর আগে এই ঘটনায় আরো দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। গত ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সম্পাদক আফজল খানকে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম আলমের ছেলে আল মোজাহিদ তার সমর্থকদের নিয়ে আফজল খানকে লাঞ্ছিত করে। গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে। এসময় পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে হাতকড়া পরিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমা চাওয়ায়। এসময় ওই ছাত্রের বাবাকেও তারা লাঞ্ছিত করে।
এই খবর পেয়ে ঢাবি ছাত্রলীগ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করে। বুধবার বিকালে বিকেলে জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক থেকে আবুল হাসেম আলমকে বহিষ্কার করার পর তাকে আটক করে পুলিশ।
পরে বুধবার সন্ধ্যায় ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।
ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক শামীম আহমেদ বিলকিস বলেন,
ছাত্রলীগ নেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ধরমপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে সর্বসম্মতিক্রমে আবুল হাশেম আলমকে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।